মহাবতার বাবাজির জন্ম ও তাঁর জীবন সম্বন্ধে কোনো ঐতিহাসিক উল্লেখ পাওয়া যায় না। অটোবায়োগ্রাফি অফ এ য়োগী-তে পরমহংস যোগানন্দ লিখেছেন মৃত্যুহীন এই অবতার ভারতের হিমালয় অঞ্চলে অগণিত কাল ধরে বাস করেছেন, কদাচ মাত্র কয়েকজন কৃপাধন্যের কাছেই নিজেকে প্রকাশ করেছেন।
এযুগে মহাবতার বাবাজি ক্রিয়াযোগের লুপ্ত বিজ্ঞানভিত্তিক ধ্যানের প্রক্রিয়া পুনর্জীবিত করেছেন। বাবাজি মহারাজ তাঁর শিষ্য লাহিড়ী মহাশয়কে দীক্ষাদানকালে বলেছিলেন, “আজকে এই ঊনবিংশ শতাব্দীতে তোমার হাত দিয়ে আমি জগতকে যে ‘ক্রিয়াযোগ’ দান করছি, তা হচ্ছে সেই একই বিজ্ঞানের পুনর্জীবন, যা শ্রীকৃষ্ণ হাজার হাজার বছর আগে অর্জুনকে দিয়েছিলেন, এবং যা পতঞ্জলি তথা জিশুখ্রিস্ট ও সেন্ট জন, সেন্ট পল প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য শিষ্যরাও পরে অবগত হন।”
১৯২০-তে পরমহংস যোগানন্দ আমেরিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার ঠিক আগে, দৈবী আশ্বাসের জন্যে গভীর ধ্যানে থাকা এই যুবা সন্ন্যাসীর সামনে কলকাতায় যোগানন্দজির বাড়িতে মহাবতার বাবাজি এসেছিলেন। বাবাজি তাঁকে বলেছিলেন: “তুমি গুরুর আজ্ঞা শিরোধার্য করে আমেরিকা যাও। ভয় কোরো না; ঈশ্বরই সর্বদা তোমায় রক্ষা করবেন। তোমাকেই আমি পশ্চিমে ক্রিয়াযোগের বাণী প্রচার করবার জন্য নির্বাচিত করেছি।”
মহাবতার বাবাজি সম্বন্ধে আরও পড়ুন: বাবাজি, আধুনিক ভারতের খ্রিস্ট-যোগী