১৯৩৫-এ যোগানন্দজির তাঁর মহান গুরুর সঙ্গে শেষ বারের মত দেখা করার জন্যে ভারতবর্ষে আগমন (বাঁদিকে)। (স্বামী শ্রীযুক্তেশ্বর ১৯৩৬-এর ৯ই মার্চ দেহরক্ষা করেন)। জাহাজে এবং গাড়িতে ইউরোপ, প্যালেস্টাইন এবং ইজিপ্টের মধ্যে দিয়ে ১৯৩৫-এর গ্রীষ্মকালে বম্বেতে তাঁর আগমন ঘটে।
যোগানন্দজির বৎসরকালব্যাপী স্বদেশ অবস্থানকালে, তিনি সারা উপমহাদেশের বিভিন্ন শহরে ক্লাস নেন এবং ক্রিয়াযোগ দীক্ষা দেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী যিনি তাঁর কাছে ক্রিয়াদীক্ষার অনুরোধ জানিয়েছিলেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্যর সি. ভি. রামন, রমনা মহর্ষি এবং আনন্দময়ী মা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন বিখ্যাত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে দেখা করেও খুব আনন্দিত হয়েছিলেন।
এই সময়েই শ্রীযুক্তেশ্বরজি তাঁকে ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক সম্মান পরমহংস উপাধিতে ভূষিত করেন। আক্ষরিক অর্থে “পরম হংস” (আধ্যাত্মিক বিচারের একটি প্রতীক), এই উপাধির অর্থ যিনি ঈশ্বরের সঙ্গে ঐক্যের চরমাবস্থায় প্রতিষ্ঠিত।
ভারতবর্ষে থাকাকালীন যোগানন্দজি এখানে তাঁর কাজের স্থায়ী স্থাপনা যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। এর সদর দপ্তর (বাঁদিকে নীচে) দক্ষিণেশ্বরে (কলকাতার কাছে গঙ্গার ধারে) এবং মূল আশ্রম রাঁচিতে। সারা উপমহাদেশে – বিদ্যালয়, আশ্রম, ধ্যান কেন্দ্র এবং সমাজসেবামূলক কাজের মধ্যে দিয়ে এই সোসাইটি আজও বিস্তৃত হয়ে চলেছে।
১৯৩৬-এর শেষে তিনি আমেরিকায় প্রত্যাবর্তন করেন যেখানে তিনি তাঁর বাকি জীবন কাটিয়েছিলেন।