ভারতের সর্বত্র ভগবান কৃষ্ণ অবতার (ঈশ্বরের অবতার) রূপে পূজিত হন। ভগবান কৃষ্ণের মহত্তম শিক্ষা ভগবত গীতায় সন্নিবেশিত আছে।
পরমহংস যোগানন্দ গীতার উপর তাঁর উচ্চ প্রশংসিত দুই খন্ডের ভাষ্যে লিখেছেন:
“ভগবত গীতা ভারতের সবচেয়ে প্রিয় ধর্মগ্রন্থ, এক শাস্ত্রের শাস্ত্র। হিন্দুর পবিত্র সাক্ষ্য, বা বাইবেল, আধ্যাত্মিক জ্ঞানের উৎস রূপে সমস্ত ধর্মগুরুদের মান্য এক গ্রন্থ. . . .
“চার বেদ, ১০৮ উপনিষদ ও ৬টি ধারার হিন্দু দর্শনের সার গীতা সর্বাঙ্গীনভাবে স্বীকৃত আধ্যাত্মিকতার প্রদর্শক….মহাবিশ্বের সমগ্র জ্ঞান গীতায় পুঞ্জীভূত। সর্বোৎকৃষ্টভাবে সুগভীর জ্ঞানপূর্ণ তথাপি প্রবোধের সৌন্দর্য ও সারল্যের আপ্তবাক্যে গীতা বোধগম্য
— সুবিশাল বিস্তৃতির মানুষের বিভিন্ন প্রকৃতি ও চাহিদার, সব ধরণের মানবিক প্রচেষ্টায় ও আধ্যাত্মিক সংগ্রামে প্রযুক্ত। ঈশ্বরমুখী হলেই সে যাত্রাপথে গীতা আলোকপাত করে. . . .
“প্রাচ্যে কৃষ্ণ যোগের ঐশ্বরিক উদাহরণ; ঈশ্বর মনোনীত খ্রিস্ট পাশ্চাত্যে ঈশ্বর-সংযোগে আদর্শ. . . . গীতা অধ্যায় IV:২৯ ও V:২৭-২৮-এ উল্লিখিত অর্জুনকে দেওয়া কৃষ্ণের ক্রিয়াযোগ কৌশল, যোগ ও ধ্যানের অনন্য অধ্যাত্মজ্ঞান। বস্তুবাদী যুগে গুপ্ত থাকা এই শাশ্বত যোগ এযুগের মানুষের জন্যে মহাবতার বাবাজি পুনরুজ্জীবিত করেন আর যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া/সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ-এর গুরুকুল প্রশিক্ষিত করেন।”